বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » বিশ্ববিদ্যালয় | শিক্ষা » সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘কোন বিশ্ববিদ্যালয় বলতেই পারে আমরা পরীক্ষা নেব। তবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও ঝুঁকির কথা ভাবতে হবে। সবাই পরীক্ষা নিলে কী হতে পারে সে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। আমরা যে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার কথা বলছি, তা করলে কী হবে সেটিও ভাবতে হবে। কোন বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের স্বার্থ দেখলে হবে না। ভারতে পরীক্ষা হয়েছে, অন্য দেশ কি করছে দেখবো। বিষয়গুলো আমরা পর্যালোচনা করে দেখছি। যা সম্ভব হবে আমাদের পক্ষে, তার সবটুকুই করবো। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের কথা চিন্তা করেই সব করা হবে।’ এ বিষয়ে সামনের দিনগুলোতে সব বলা যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। তিনি বলেন, আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হবে। চেষ্টা করছি খুব সীমিত আকারে হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায় কিনা। তবে সবকিছু নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপর বলেও জানান তিনি।
এসময় এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে সামনের মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খোলা যায় কিনা সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের প্রস্তুতিতেও ঘাটতি রয়েছে। সেজন্য সীমিত পরিসরে হলেও তাদের ক্লাসে নিয়ে আসা গেলে কিছুটা হলেও তাদের সুবিধা হবে। তবে সবকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত ১৭ মার্চ থেকে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আরও এক দফায় এ ছুটি বাড়ানো হলো। জানা গেছে, সংবাদ সম্মেলনের আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বৈঠকে বসে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। ওই বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে এরইমধ্যে চলতি বছরের প্রাথমিকের সমাপনী, জেএসসি-জেডিসি, এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষাও। এছাড়াও গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর এ ভাইরাসের বিস্তার রোধে ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। কয়েক দফায় সেই ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়।