শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » সংগঠন সংবাদ » চার দফা দাবি নিয়ে বেকার ভাতার দাবিতে যুবকদের প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি
চার দফা দাবি নিয়ে বেকার ভাতার দাবিতে যুবকদের প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি
বাংলাদেশ যুব শক্তির উদ্যোগে ‘কর্মসংস্থান অথবা বেকার ভাতাসহ ৪ দফা দাবিতে যুবকদের প্রতিবাদী অবস্থান’ কর্মসূচি পালিত হয়। আজ শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ যুব শক্তির আহ্বায়ক হানিফ বাংলাদেশী বলেন, বিশ্বব্যাপী করোন মহামারিতে কোটি কোটি মানুষ বেকার হচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশেও অনেক বেসরকারি চাকুরিজীবি চাকুরি হারিয়েছেন। অনেক কল-কারখানা বন্ধ হওয়ার ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন হাজারো শ্রমিক। নতুন করে চাকুরি পাওয়া তো দূর, পুরোনা চাকুরিজীবিরাই চাকুরি ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। বিশ্বে করোনার কারণে মানুষ বেকার হচ্ছে আর বাংলাদেশের মানুষ করোনা ও অর্থপাচারের কারণে বেকার হচ্ছে। পাটকলসহ সরকারি অধিনস্ত সব প্রতিষ্ঠান সরকার বন্ধ করে বেসরকারিকরণ করছে। সরকার যদি কলকারখানা সচল না রাখতে পারে তাহলে জনগণ কিছু দিনের মধ্যে সরকারকেই বেসরকারি করণ করে দিবে।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল রবিবার (১ নভেম্বর) জাতীয় যুব দিবস। এবারের যুব দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের আহ্বান-যুব কর্মসংস্থান’। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুবক এবং কর্মক্ষম যুবকের প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ বেকার। দুর্নীতিবাজদের বিদেশে অর্থপাচারের ফলে দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে না। দেশে বিনিয়োগ না করে তারা বিদেশে অর্থপাচার করছেন। ফলে পর্যাপ্ত কল-কারখানা গড়ে উঠছে না। পক্ষান্তরে সরকারকে কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে না।
যুব শক্তির আহ্বায়ক আরও বলেন, প্রতিটি রাষ্ট্র তার নাগরিকদের কিছু সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে আমরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। কর্মসংস্থান আমাদের মৌলিক অধিকারের অন্যতম হওয়ার পরেও আমরা কর্ম না পেয়ে বেকার জীবন যাপন করছি। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। কর্মসংস্থানের জন্য দেশের যুব সমাজ আজ হাহাকার করছে।
এ সময় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও কর্মসংস্থান না পাওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক বেকার যুবকদের ভাতা প্রদানের দাবিতে ৪ দফা দাবি সরকারের উদ্দেশ্যে পেশ করা হয়। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে-
১) পাচারকৃত অর্থ ফেরত এনে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।
২) ২৫ বছরের বেশি বয়সী সকল বেকার যুবককে বেকার ভাতা দিতে হবে।
৩) বিদেশে যেতে ইচ্ছুক যুবকদের সরকারি খরচে বিদেশে পাঠাতে হবে। বিদেশে যাওয়ার পর সরকারি খরচ আদায়ের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।
৪) বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ দিতে হবে।
প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের উপদেষ্টা ইকবাল আমেনী, সাধারণ সম্পাদক শেখ নাছির উদ্দিন, ন্যাপ সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, রাষ্ট্রচিন্তার দিদার ভূঁইয়া, ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ যুব শক্তির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম ফারুক মজনু, মারুফ সরকার, শহিদুল ইসলাম, আল-আমিন, জামাল উদ্দিন রাসেল, এন. ইউ. আহমেদ, ইসমাঈল হোসেন পাটোয়ারী তুহিন, সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান প্রমুখ।