রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » মেডিকেল কলেজ » স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষা চান না মেডিকেল শিক্ষার্থীরা
স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষা চান না মেডিকেল শিক্ষার্থীরা
দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পেশাগত পরীক্ষার জন্য এ তারিখ ঘোষণা করা হয়। তবে করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষায় বসতে চান না মেডিকেল ও ডেন্টালের শিক্ষার্থীরা। তাই পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে রবিবার (১ নভেম্বর) শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছেন তারা।
বিশ্বব্যাপী যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে তখন পরীক্ষায় বসলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুঝুঁকিও তৈরি হবে। এ কারণে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চান না শিক্ষার্থীরা।
পরীক্ষা বাতিল ও সেশন জটমুক্ত মেডিকেল শিক্ষাবর্ষে দাবিতে সাধারণ মেডিকেল এবং ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের ব্যানারে দুপুরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শাহবাগের চতুর্মুখী সড়কে যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এ সময় বিক্ষোভ স্থলে পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। এর আগে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনা মহামারিতে পেশাগত পরীক্ষা নয়, এর বিকল্প চাই, অনতিবিলম্বে সেশনজটমুক্ত করতে পরবর্তী ছেলেদের অনলাইন ক্লাস শুরুর নির্দেশনা ঘোষণা, পরীক্ষা ও ক্লাস সংক্রান্ত আদেশ এর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করতে হবে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পর শিক্ষার্থীরা শাহবাগের দিকে অগ্রসর হয়।
বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং সেকেন্ড ওয়েবের আশঙ্কা করা হচ্ছে তখন আমাদের পেশাগত পরীক্ষা ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় পরীক্ষা দেয়ার আগে আবাসিক হলগুলোতে একমাস অবস্থান করার বাধ্যবাধকতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি হলে একটি রুমে তিন থেকে চারজন করে শিক্ষার্থী থাকে। এই অবস্থায় তারা কেউ আক্রান্ত হলে এর দায়ভার কর্তৃপক্ষ নিবে না। কেউ আক্রান্ত হলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ফলে শিক্ষার্থীরা ছয় মাস পিছিয়ে পড়বে। তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য দাবি জানান।
আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে বেসরকারি মেডিকেলের এক শিক্ষার্থী জানান, গত সাত মাসে ক্লাস বন্ধ থাকার পরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশের পর প্রতিটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন ভাতা পরিশোধ করার নোটিশ দেওয়া হচ্ছে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এর শর্তানুসারে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নকালে ৬০ মাসের বেতন পরিশোধ করবে। সেক্ষেত্রে করোন মহামারির কারণে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার পরেও বেতন আদায় করা এবং পরবর্তীতে অতিরিক্ত ক্লাস করানো হলে সেজন্য টাকা আদায় করবে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তাই একদিকে সেশনজট অন্যদিকে অতিরিক্ত বেতন পরিশোধ এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি ইত্যাদি নানা সমস্যার মধ্যে তারা পরীক্ষা দিতে চান না বলে জানান।