শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Shikkha Bichitra
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » Default Category | মেডিকেল কলেজ | সাক্ষাৎকার » বে-সরকারি পযার্য়ে মান সমপন্ন চিকিৎসাসেবা দেয়া এবং দক্ষ চিকিৎসক গড়ে তোলা সম্ভব - প্রফেসর ডা. মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী ,অধ্যক্ষ, সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা
প্রথম পাতা » Default Category | মেডিকেল কলেজ | সাক্ষাৎকার » বে-সরকারি পযার্য়ে মান সমপন্ন চিকিৎসাসেবা দেয়া এবং দক্ষ চিকিৎসক গড়ে তোলা সম্ভব - প্রফেসর ডা. মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী ,অধ্যক্ষ, সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা
৪৫৮৫২৫ বার পঠিত
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বে-সরকারি পযার্য়ে মান সমপন্ন চিকিৎসাসেবা দেয়া এবং দক্ষ চিকিৎসক গড়ে তোলা সম্ভব - প্রফেসর ডা. মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী ,অধ্যক্ষ, সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা

বে-সরকারি পযার্য়ে মান সমপন্ন চিকিৎসাসেবা দেয়া এবং দক্ষ চিকিৎসক গড়ে তোলা সম্ভব - প্রফেসর ডা. মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী ,অধ্যক্ষ, সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লাএই এলাকার মানুষকে স্বল্প খরচে উন্নত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে কয়েকজন উদ্যোক্তা চিকিৎসক ১৯৯১ সালে কুমিল্লা শহরে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার নামক একটি হাসপাতাল স্থাপন করেন। প্রথমে ত্রিশ বেড দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে ২৫০ বেডে উর্ত্তীণ করা হয়েছে। মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে শুরু করে উন্নত সার্জিকেল চিকিৎসা ব্যবস্থা এখানে রয়েছে। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি রোগীরা কমমূল্যে প্যাথলোলজিক্যাল টেস্ট করার সুবিধা পাচ্ছে। আগে একজন রোগী ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নিত আর বর্তমানে কাছকাছি থেকে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছে। এরই ধারাবাহিকতায় উদ্যোক্তাগণ চিন্তা করলেন যে, চিকিৎসা সেবা বিকাশে আরো চিকিৎসক গড়া দরকার। তাই তারা কুমিল্লায় একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরপর ২০০৫ সালে সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ স্থাপনের অনুমোদন পায়। সরকারের সকল শর্ত মেনে তারা মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু করেন। কুমিল্লা বিশ্বরোড সংলগ্ন অত্যাধুনিক একাডেমিক ভবন, হোস্টেল, ৫০০ শর্যার হাসপাতাল এবং নিজস্ব পরিবহনসহ সার্বিক সুবিধা সম্বলিত স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। বিগত দিনে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যেসব পরীক্ষা হয়েছে তাতে সেন্ট্রাল মেডিকেলের ফলাফল অনেক ভালো।

সেন্ট্রাল মেডডকেল কলেজের প্রধান লক্ষ্য হলো জনবহুল এই দেশে মান সমপন্ন চিকিৎসা সেবা দেয়া। এতো বড় জনসংখ্যার জন্য চিকিৎসা সেবা দেয়া সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ অবস্থায় কিছু সমাজ সচেতন ব্যক্তি এগিয়ে আসেন সরকারকে সহযোগিতা দেয়ার জন্য। বে-সরকারি পযার্য়ে মান সমপন্ন চিকিৎসাসেবা দেয়া এবং দক্ষ চিকিৎসক গড়ে তোলা সম্ভব। এব্যাপারে সরকারেরও সৎ ইচ্ছা লক্ষ্য করা যায়। তবে সেটাকে অব্যাহত রাখতে হবে। শিক্ষাবিচিত্রাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী। তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর সরকারি চিকিৎসক হিসেবে সেবা দেওয়ার পর নিজ থেকে অব্যাহতি দেন। কাজ করেছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি, বে-সরকারি হাসপাতালে। প্রফেসর ডা.শফিকুর রহমান পাটোয়ারী উপাধ্যক্ষ হিসেবে এই কলেজে যোগদান করেন এবং বর্তমানে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

শিক্ষাবিচিত্রা: আপনার মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট এবং শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।
প্রফেসর ডা. মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী: চিকিৎসা সেবা মানুষের মৌলিক অধিকার আর এই অধিকার পূরণের লক্ষ্যে চিকিৎসকগণ সমাজে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু জনসংখ্যার তুলনায় এখনও দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা অপ্রতুল। সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হয়ে ২০০৫ সালে হতে বিশ্বমানের চিকিৎসা শিক্ষা ও সেবা প্রদান করে আসছে সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ। এই কলেজের শিক্ষার্থীরা এমবিবিএস কোর্স সমপন্ন করে দেশে এবং বিদেশে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ মেডিকেল কলেজ সম্পূর্ণ আবাসিক, এখানে ১,৭৫০০০ বর্গফুট বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন এবং ১,৪৯৮১২ বর্গফুট বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন রয়েছে। এবছর ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ১৫ তম ব্যাচে এমবিবিএস কোর্সে ছাত্রছাত্রী ভর্তি চলছে। সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ প্রতিটি শিক্ষার্থীর যতœ নিয়ে থাকে। অনুপস্থিত এবং পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে এনে প্রয়োজনীয় নিদের্শনা দেওয়া হয়। এছাড়া আমাদের কলেজে দক্ষ এবং পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছে।

শিক্ষাবিচিত্রা: বর্তমানে আমাদের দেশে চিকিৎসা শিক্ষা বিকাশে প্রধান প্রতিবন্ধকতাগুলো কি কি?
প্রফেসর ডা. মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী: আমাদের দেশে দক্ষ শিক্ষকের অভাব রয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতেও এই সমস্যা রয়েছে। বেসিক সাবজেক্টের শিক্ষকের অভাব আরো প্রকট।

শিক্ষাবিচিত্রা: এটি একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় যে, অধিকাংশ এমবিবিএস চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা প্রদানের কর্মক্ষেত্র হিসেবে গ্রামকে পছন্দ করেন না-এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য জানতে চাচ্ছি?
প্রফেসর ডা.মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী: আমি মনে করি পূর্বে এই সমস্যা প্রকট ছিল। এখন সেটা কমে এসেছে। সরকারও এব্যাপারে যথেষ্ট চেষ্টা করছে। গ্রামপযার্য়ে আনুসঙ্গিক সুযোগ সুবিধা বাড়ালে আরো ভালো ফল পাওয়া যাবে। তবে এব্যাপারে আমরা যারা মেডিকেলে কলেজে শিক্ষকতা করছি তাদের একটা বড় দায়িত্ব রয়েছে। ছাত্ররা যাতে গ্রামে চিকিৎসা সেবা দিতে, আর্ত মানুষের সেবা করতে আগ্রহী হয় সেব্যাপারে তাদের অনুপ্রেরণা দিতে হবে।

শিক্ষাবিচিত্রা: আপনার মেডিকেল কলেজের বৈশিষ্ট্যগুলোর বলবেন কি যে কারণে শিক্ষার্থীরা আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অধিকতর পছন্দ করবে?
প্রফেসর ডা.মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী: সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ কুমিল্লায় বে-সরকারি মেডিকেল কলেজ গুলোর মধ্যে প্রথম। এখানে দক্ষ শিক্ষক এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণে কলেজের সমস্ত শিক্ষা কার্যক্রম চলে। প্রফেশনাল পরীক্ষায় আমাদের ফলাফল খুব ভালো। বিগত ৭ টি পরীক্ষায় আমাদের ছাত্রছাত্রীরা মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। এবছর মে মাসের প্রফেশনাল পরীক্ষায় এনাটমিতে ৫জন এবং মাইক্রোবাইলোজি-তে ২জন অনার্স পেয়েছে। বিদেশী বেশ কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী আমাদের এখানে রয়েছে। এখন পর্যন্ত এ করেজ হতে ৪৭৯ জন চিকিৎসক হয়েছেন, ৭০ জন উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন, প্রায় ২০জন উচ্চতর চিকিৎসা কোর্স সম্পন্ন করেছেন। অনেকেই বিভিন্ন সরকারি, বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে কর্মরত আছেন। এ মেডিকেলের কিছু শিক্ষার্থী আমেরিকা, কানাডা ও অট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা সেবায় কর্মরত আছেন। উল্লেখ যে, আমাদের হাসপাতালে পর্যাপ্ত রোগী রয়েছে। ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে শিখার সুযোগ পাচ্ছে। দরিদ্র রোগীদের জন্য ৫% বেড ফ্রি রাখা হয়েছে।



আর্কাইভ