শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Shikkha Bichitra
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » Default Category | মেডিকেল কলেজ | সাক্ষাৎকার » ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের উদ্দেশ্য হলো স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিকল্পে দেশের জন্য দক্ষ চিকিৎসক গড়ে তোলা - অধ্যাপক ডা: সাহিদা চৈাধুরী, অধ্যক্ষ, ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ
প্রথম পাতা » Default Category | মেডিকেল কলেজ | সাক্ষাৎকার » ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের উদ্দেশ্য হলো স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিকল্পে দেশের জন্য দক্ষ চিকিৎসক গড়ে তোলা - অধ্যাপক ডা: সাহিদা চৈাধুরী, অধ্যক্ষ, ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ
২৫৬৮০২ বার পঠিত
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের উদ্দেশ্য হলো স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিকল্পে দেশের জন্য দক্ষ চিকিৎসক গড়ে তোলা - অধ্যাপক ডা: সাহিদা চৈাধুরী, অধ্যক্ষ, ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ

ঢাকা কমিউনিটি  মেডিকেল কলেজের উদ্দেশ্য হলো স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিকল্পে দেশের জন্য দক্ষ চিকিৎসক গড়ে তোলা - অধ্যাপক ডা: সাহিদা চৈাধুরী, অধ্যক্ষ, ঢাকা কমিউনিটি  মেডিকেল কলেজ

ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের প্রধান বৈশিষ্ট এটা গরিব মানুষের হাসপাতাল অর্থাৎ কম খরচে ভালো সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা। Need based আধুনিক শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে আমরা কোর্স কারিকুলাম ছাড়াও কমিউনিটি অরিয়েনটেড শিক্ষা ও সেবা প্রদান করে আসছি। উল্লেখ্য যে প্রথমবর্ষ থেকে প্রত্যেক ছাত্রকে নগর ও গ্রামীণ পাঁচটি পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দেয়া হয়,যাতে তারা স্বাস্থ্য ও আর্ত সামাজিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের উদ্দেশ্য হলো স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিকল্পে দেশের জন্য দক্ষ চিকিৎসক গড়ে তোলা। বলছিলেন ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: সাহিদা চৈাধুরী। সম্প্রতি তিনি শিক্ষাবিচিত্রা পত্রিকা একটি মূল্যবান সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

শিক্ষাবিচিত্রা: আপনাদের মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট ও বর্তমান শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।
অধ্যাপক ডা:সাহিদা চৌধুরী: ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ১৯৮৮ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে একটি অলাভজনক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাষ্ট দ্বারা পরিচালিত।এই হাসপাতালটি জন্মলগ্ন থেকে শহর ও গ্রামের দরিদ্র জনগণের চিকিৎসাসেবা প্রদান করে আসছে। এই হাসপাতালের উদ্দেশ্য হচ্ছে টেকসই প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নতর চিকিৎসা সেবার একটি মডেল প্রতিষ্ঠা করা। এই উপলব্ধির ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালের ঐকান্তিকভাবে অনুধাবন করেন যে, সরকারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিকল্পে দেশের জন্য দক্ষ চিকিৎসক গড়ার লক্ষ্যে একটি আদর্শ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজটি ২০০৮ সনে সরকার কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএমডিসি কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়, বিএমডিসি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিশেষ সহযোগীতায় আমরা এই কলেজটি লাভ করেছি। কলেজটি জন্মলগ্ন থেকেই আমরা চেষ্টা করেছি মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা এবং একটি অত্যাধুনিক মেডিকেল কলেজ হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করা।আমরা এই লক্ষ্যেই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

Need based আধুনিক শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে আমরা কোর্স কারিকুলাম ছাড়াও কমিউনিটি অরিয়েনটেড শিক্ষা ও সেবা প্রদান করে আসছি। উল্লেখ্য যে প্রথমবর্ষ থেকে প্রত্যেক ছাত্রকে নগর ও গ্রামীণ পাঁচটি পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দেয়া হয়,যাতে তারা স্বাস্থ্য ও আর্ত সামাজিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। শিক্ষা ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে আমাদের হাসপাতালটি বর্তমানে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। অত্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১৫০০ থেকে ২০০০ জন রোগীর চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় এবং তার মধ্যে ৩০% বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।

দেশ ও বিদেশে দুর্যোগে আক্রান্তদের সু-চিকিৎসা সেবা প্রদান, আর্সেনিক গবেষনা ও রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩টি হাসাপাতাল স্থাপন করে চিকিৎসা সেবা প্রদান, ৫০ গার্মেন্টস ইন্ডাষ্টিজ শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান।

আমরা জনগনের সেবাদানে চেষ্টা করে যাচ্ছি, এর ফলশ্রুতিতে আমরা দেশ ও বিদেশের পুরুস্কার ও সম্মানে ভু’ষিত হয়েছি। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ঢাকা নগর পদক-২০০৫, সম্মাননাপত্র। ।Earthquake Emergency Response in Nepal-2015, শহীদ জননী জাহানার ইমাম স্মৃতিপদক।

আমাদের প্রত্যাশা কলেজটি আগামী প্রতিযোগীতায় টিকে থেকে একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেশে এবং বিদেশে সুনাম ও স্বীকৃতি অর্জন করুক। এজন্য আপনাদের সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

শিক্ষাবিচিত্রা: বর্তমানে আমাদের দেশে চিকিৎসা শিক্ষা বিকাশে প্রধান প্রতিবন্ধকতা গুলো কি কি?
অধ্যাপক ডা:সাহিদা চৌধুরী: যে কোন শিক্ষা ব্যবস্থার উপকরণ বা প্রয়োজন যা তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে শিক্ষক। চিকিৎসা শিক্ষা একটি প্রফেশনাল শিক্ষা বা হাতে কলমে প্র্যাকটিকেল ট্রেনিং নির্ভর শিক্ষা। প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে দক্ষ শিক্ষক, বর্তমানে যে হারে বেসরকারী মেডিকেল কলেজ হয়েছে তাতে প্রয়োজনীয় শিক্ষকরে অভাব। তাছাড়া চিকিৎসা বিজ্ঞানে শিক্ষার জন্য দরকার বিভিন্ন ধরনের ল্যাবব্রেটরী যা ব্যয়সাপেক্ষ। এছাড়া রয়েছে যথাযথ কলেজ ভবনের ও হাসপাতালের অভাব।

শিক্ষাবিচিত্রা: এটি একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় যে অধিকাংশ এমবিবিএস চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা প্রদানের কার্মক্ষেত্র হিসাবে গ্রামকে পছন্দ করেন না এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য জানতে চাচ্ছি?
অধ্যাপক ডা:সাহিদা চৌধুরী: এমবিবিএস পাশ করার পর চিকিৎসক গ্রামে থাকতে চায় না এটা বলার পূর্বে দেখতে হবে সম মানের শিক্ষায় শিক্ষিত কতজন গ্রামে যায় কাজ করতে, তার পরও ধরে নিই যদি এটা এমন পেশা যা মানুষের সেবার জন্য নিবেদিত তাহলে প্রশ্ন একজন চিকিৎসক থাকার জন্য পরিবেশ অর্থ্যাৎ বাসস্থানসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা আছে কি না। এতো গেল বাস্তব বিষয় এছাড়া রয়েছে কিছু মানসিক বিষয় অর্থ্যাৎ যারা এখন চিকিৎসক হচ্ছেন তারা বেশীর ভাগই শহর কেন্দ্রিক অবস্থানে আছেন যার জন্য সমাজের অন্য জন গোষ্ঠির সাথে তাদের যোগাযোগ কম,সেবার মনোভাব নিয়ে ছাত্র অবস্থায় কোন চিন্তা থাকে না, ফলে বাস্তব জীবনে এসে গ্রামে থাকার বিষয়টি মেনে নিতে পারে না।

শিক্ষাবিচিত্রা: আপনার মেডিকেল কলেজের বৈশিষ্ট্যগুলো বলবেন কি যে কারণে শিক্ষার্থীরা আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অধিকতর পছন্দ করবে?
অধ্যাপক ডা:সাহিদা চৌধুরী: ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের প্রধান বৈশিষ্ট এটা গরিব মানুষের হাসপাতাল অর্থাৎ কম খরচে ভালো সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা। ঢাকার অন্যান্য বড় হাসপাতালের তুলনায় সেবার মান যথেষ্ট ভালো এবং আনুষঙ্গিক খরচ কম। ছাত্রদের জন্য চিকিৎসা শিক্ষায় যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি দরকার তা হলো রোগী। এখানে রোগীর প্রচুর আগমন আছে। ফলে রোগী দেখে শেখার বড় সুযোগ রয়ে গেছে। এছাড়া রয়েছে অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী ।

শিক্ষাবিচিত্রা: আপনাকে ধন্যবাদ।

অধ্যাপক ডা:সাহিদা চৌধুরী: শিক্ষাবিচিত্রাকেও ধন্যবাদ



আর্কাইভ