শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Shikkha Bichitra
শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » মাধ্যমিক বিদ্যালয় | শিক্ষা | শিক্ষাঙ্গন » শিক্ষকদের অ্যাসাইনমেন্ট ব্যবসা, দোকান থেকে কিনছেন শিক্ষার্থীরা
প্রথম পাতা » মাধ্যমিক বিদ্যালয় | শিক্ষা | শিক্ষাঙ্গন » শিক্ষকদের অ্যাসাইনমেন্ট ব্যবসা, দোকান থেকে কিনছেন শিক্ষার্থীরা
৬২৫৩২ বার পঠিত
শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

শিক্ষকদের অ্যাসাইনমেন্ট ব্যবসা, দোকান থেকে কিনছেন শিক্ষার্থীরা

শিক্ষকদের অ্যাসাইনমেন্ট ব্যবসা, দোকান থেকে কিনছেন  শিক্ষার্থীরাকরোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে প্রায় সাত মাস। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট করানোর নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। সে অনুযায়ী, সপ্তাহে একদিন প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট টপিক সংগ্রহ ও জমা দেবে শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগ উঠেছে, এটিকেই সুযোগ হিসেবে নিয়ে বাড়তি অর্থ আয় করছেন কিছু শিক্ষক। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় হাতেম হাসিল ভাতহাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. শামীম হোসেন তালুকদার অ্যাসাইনমেন্ট দোকানে বিক্রি করছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, ৩০ টাকার বিনিময়ে বাজারের কম্পিউটারের দোকানে এসব অ্যাসাইনমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। সরেজমিনে ভাতহাড়িয়া বাজারের একটি দোকানে গিয়েও এর সত্যতা পেয়েছেন সাংবাদিকরা। দোকানের সামনে শত শত শিক্ষার্থীকে ভিড় করতে দেখা গেছে।

দোকান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করার কারণ জানতে চাইলে এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা শামীম স্যারের নির্দেশে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করছি। একেকটির দাম ৩০ টাকা।’

তবে শুরুতে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন শিক্ষক মো. শামীম হোসেন তালুকদার। অবশ্য পরে শিক্ষার্থীদের ভিডিও বক্তব্য ধারণ করা হয়েছে, সাংবাদিকরা এমন তথ্য জানালে তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন মল্লিক বলেন, ‘৫ নভেম্বর ছিল আমার শেষ কর্মদিবস। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে শামীম হোসেন অ্যাসাইমেন্টের বিষয়টা দেখছেন। তিনিই সব বলতে পারবেন।’

রায়গঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম এ ব্যাপারে বলেন, ‘নির্দেশনা দিয়েছি নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ করতে। প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান খরচ বহন করবে। তিনি নির্দেশনা অমান্য করায় সরকারি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’



আর্কাইভ