বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » চাকরির সংবাদ » করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হচ্ছে না ৪১তম বিসিএস
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হচ্ছে না ৪১তম বিসিএস
সহসাই হচ্ছে না ৪১ম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। চলমান করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ স্বাভাবিক হওয়ার পরই এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা কবে- জানতে চাইলে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) ওই সূত্রটি জানায়, চলতি বছরের মার্চে ৪১তম বিসিএসের প্রিলি পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। তবে করোনা পরিস্থিতি কারণে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। কোন মাসে প্রিলি পরীক্ষা আয়োজন করা যাবে সেটি নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা হবে না এটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। গত বছরের ২৭ নভেম্বর এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি।
তথ্যমতে, ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এই বিসিএসে রেকর্ড ৪ লাখ ৭৫ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। ৪১তম বিসিএসে ২ হাজার ১৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৪১তম বিসিএসে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। এই ক্যাডারে ৯১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে বিসিএস শিক্ষায় প্রভাষক ৯০৫ জন, কারিগরি শিক্ষা বিভাগে প্রভাষক ১০ জন নেওয়া হবে।
শিক্ষার পরে বেশি নিয়োগ হবে প্রশাসন ক্যাডারে। প্রশাসনে ৩২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। পুলিশে ১০০ জন, বিসিএস স্বাস্থ্যতে সহকারী সার্জন ১১০ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ৩০ জন নেওয়া হবে। পররাষ্ট্রে ২৫ জন, আনসারে ২৩ জন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সহকারী মহাহিসাবরক্ষক (নিরীক্ষা ও হিসাব) ২৫ জন, সহকারী কর কমিশনার (কর) ৬০ জন, সহকারী কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি) ২৩ জন ও সহকারী নিবন্ধক হিসেবে ৮ জনকে নেওয়া হবে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ১২ জন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী ৪ জন, সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট ১ জন, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ১ জন, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ২০ জন, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) হিসেবে ৩ জনকে নেওয়া হবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী পরিচালক বা তথ্য কর্মকর্তা বা গবেষণা কর্মকর্তা ২২ জন, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) ১১ জন, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক ৫ জন, সহকারী বেতার প্রকৌশলী ৯ জন, স্থানীয় সরকার বিভাগে বিসিএস জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে সহকারী প্রকৌশলী ৩৬ জন, সহকারী বন সংরক্ষক ২০ জন।
সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল পদে ২ জন, বিসিএস মৎস্যতে ১৫ জন, পশুসম্পদে ৭৬ জন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ১৮৩ জন ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ৬ জন, বিসিএস বাণিজ্যে সহকারী নিয়ন্ত্রক ৪ জন।
পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ৪ জন, বিসিএস খাদ্যে সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক ৬ জন ও সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী ২ জন, বিসিএস গণপূর্তে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ৩৬ জন ও সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) হিসেবে ১৫ জন কর্মকর্তাকে এই বিসিএসে নিয়োগ করা হবে।