শনিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » চাকরির সংবাদ | বিশ্ববিদ্যালয় » ৪৩তম বিসিএসে আবেদনের সময় বাড়ানোর দাবি দুই উপাচার্যের
৪৩তম বিসিএসে আবেদনের সময় বাড়ানোর দাবি দুই উপাচার্যের
করোনার কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের চূড়ান্ত পরীক্ষা না হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী সদ্য প্রকাশিত ৪৩তম বিসিএসে আবেদন করতে পারবেন না। তাদের কথা চিন্তা করে এই বিসিএসে আবেদনের সময় বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর হারুন-অর-রশিদ।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে করোনাকালীন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনাকালে এ কথা জানান এই দুই উপাচার্য।
তথ্যমতে, গত ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪৩তম বিসিএসের আবেদন শুরু হবে। আবেদন গ্রহণ চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে চলমান পরিস্থিতিতে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা না হওয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ ৪৩তম বিসিএসে আবেদন করতে পারবেন না। ফলে আবেদনের সময় বৃদ্ধির দাবি তোলেন অনেক শিক্ষার্থী।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, করোনার কারণে আমাদের ছেলে-মেয়েদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে যারা চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা দেবেন তাদের ক্ষতিটা সবচেয়ে বেশি। আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাবো, আমাদের কোনো শিক্ষার্থী যেন চাকরি কিংবা বিসিএসের আবেদন থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময় মার্চ-এপ্রিলের দিকে করার আহবান জানান তিনি।
করোনার মধ্যে বিসিএস কিংবা বড় বড় চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করাই উচিৎ হয়নি বলে মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, আমাদের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের অর্ধেক পরীক্ষা হয়ে গেছে। অবশিষ্ট পরীক্ষা জানুয়ারিতে নেয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু পুরো বিষয়টিই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপর। করোনা মহামারী চলার দরুন বিসিএস কিংবা বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করাটাই ভালো ছিল। এর ফলে আমাদের ২ লাখ ২৫ হাজার শিক্ষার্থী অনেক চাকরির পরীক্ষা এবং বিসিএসে আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।