
বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » বিশ্ববিদ্যালয় | শিক্ষা | শিক্ষাঙ্গন » রাবি বিভাগ সভাপতির বিরুদ্ধে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে অনিয়মের অভিযোগ
রাবি বিভাগ সভাপতির বিরুদ্ধে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে অনিয়মের অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি ড. সৈয়দ মো: আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে এম.এস.এস.-২০১৯ পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন বিভাগটির ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার(৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর দেয়া এক আবেদনপত্রে এ অভিযোগ জানান শিক্ষার্থীরা। আবেদনপত্রে অভিযোগ তদন্তপূর্বক পরীক্ষার সকল উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নসহ বিভাগ সভাপতির শাস্তি দাবি করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ড. সৈয়দ মো: আব্দুল্লাহ্ আল মামুন চৌধুরী বিভাগের সভাপতি হওয়ার পর তার স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, ছাত্র-ছাত্রীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, পক্ষপাতিত্ব এবং ক্লাস-পরীক্ষার ক্ষেত্রে দায়িত্বে অবহেলা ও অনৈতিক কার্যকলাপের ফলে এম.এস.এস-২০১৯ পরীক্ষার ফলাফলে নজিরবিহীন বিপর্যয় ঘটেছে।
আবেদনপত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ২৯ জন শিক্ষার্থীর ১১ জন ৩.৫০ বা এর বেশি সিজিপিএ নিয়ে বি.এস.এস (সম্মান)-২০১৮ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তবে গত ১১ই নভেম্বর প্রকাশিত স্নাতকোত্তরের ফলাফলে দেখা যায় ২৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩.৫০ বা এর বেশি ফলাফল অধিকার করতে পেরেছেন মাত্র ৩ জন। বিভাগ সভাপতি ড. সৈয়দ মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীর অনৈতিকতা, পক্ষপাতিত্ব এবং প্রতিশোধ পরায়ণতাকেই এ ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ বলে মন্তব্য করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া স্নাতকোত্তর পরীক্ষার থিসিস গ্রুপের ৬ টি কোর্সের ৩টি এবং নন-থিসিস গ্রুপের ৮ টি কোর্সের ৫টিরই পরীক্ষক ছিলেন বিভাগ সভাপতি ড. সৈয়দ মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এসব কোর্সের উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তিনি পক্ষপাতিত্ব করেছেন বলে অভিযোগ তাদের।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি ড. সৈয়দ মো: আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মাস্টার্সের ফলাফল নির্ধারণে কোনরূপ পদ্ধতিগত ত্রুটি হয়নি বলে জানান।
তিনি বলেন, এটা ঠিক যে কিছু শিক্ষার্থীর ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। তবে পূর্বে ভালো ফলাফল করা শিক্ষার্থীর ফল ভালো হয়নি বলেই যে সেখানে অনিয়ম হয়েছে এমনটি তো নয়। যে শিক্ষার্থী ভালো পড়েছে, তার ফলাফল ভালো হয়েছে। আর পরীক্ষার ফলাফল তো একজন শিক্ষকের হাতেও থাকে না যে তিনি অনিয়ম করবেন। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় পরীক্ষার ফলাফলে অনিয়ম করারও কোন সুযোগ নেই। এখানে প্রতিটি উত্তরপত্র দুজন শিক্ষক মূল্যায়ণ করেন। তাদের দেয়া নম্বরের মধ্যে ২০ পারসেন্ট পার্থক্য থাকলে তৃতীয় একজন পরীক্ষক উত্তরপত্রটি পুনর্মূল্যায়ণ করেন।
তিনি আরো বলেন, আমি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালনকালে বিভাগের প্রতিটি বিষয় বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী হয়েছে। আমি এটি নিশ্চয়তা দিতে পারি এ সময়টাতে বিভাগে কোন অনিয়ম হয়নি। শিক্ষার্থীরা যেহেতু অভিযোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেগুলো তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেবেন।