শনিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » বিশ্ববিদ্যালয় | শিক্ষা | শিক্ষাঙ্গন » করোনাকালীন ক্ষতি পূরণে টানা ক্লাস-পরীক্ষা নীতিতে ঢাবি
করোনাকালীন ক্ষতি পূরণে টানা ক্লাস-পরীক্ষা নীতিতে ঢাবি
করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কমাতে বিরতিহীনভাবে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার চিন্তা ভাবনা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া যে সকল শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারেনি তাদের জন্য ‘মেক-আপ’ ক্লাস নেয়ারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এজন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রসিডিউর’ (এসওপি) পদ্ধতি অনুসরণ করতে যাচ্ছে ঢাবি প্রশাসন।
জানা গেছে, করোনার দীর্ঘ বন্ধে ঢাবি শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে সেটি থেকে উত্তরণে ‘এসওপি’ হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর কীভাবে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি দ্রুত পুষিয়ে নেয়া যায় সেটি ঠিক করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘এসওপি’ কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ঢাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। তাকে এই কমিটির প্রধান করার জন্য প্রস্তাব করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ড. মুহাম্মদ সামাদের নেতৃত্বে শিক্ষকদের একটি টিম করোনা পরবর্তী ক্ষতি কমাতে ‘এসওপি’র কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করবেন।
কর্ম পরিকল্পনার মধ্যে প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে সাতদিন ক্লাস, বিশ্ববিদ্যালয় খুললে বিরতিহীনভাবে পরীক্ষা নেয়া এবং অনলাইন ক্লাসে যে সকল শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকতে পারেননি তাদের জন্য ‘মেক-আপ’ ক্লাস নেয়ার বিষয়টি ‘এসওপিতে’ স্থান পাবে বলে জানা গেছে।
তথ্যমতে, করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে ঢাবি ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গত জুলাই থেকে পুরোদমে অনলাইনে ক্লাস নেয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ। তবে পরীক্ষা না হওয়ায় সেশনজটে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় যে সামগ্রিক ক্ষতি হয়েছে এটি নিরসনে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ঢাবি প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের যেন সেশনজটে পড়তে না হয় সেদিকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। এর জন্য করোনা পরবর্তী সময়ে করনীয় ঠিক করতে ‘এসওপি’ পদ্ধতি অনুসরণ করতে যাচ্ছে প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, করোনার কারণে আমাদের ছেলে-মেয়েদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে সেটি নিশ্চিতভাবে কেউ বলতে পারছে না। এমন অবস্থায় আমরা বসে থাকতে পারি না। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুত কীভাবে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কমানে যায় সেজন্য আমরা কাজ করছি। আমরা ‘এসওপি’ পদ্ধতি অনুসরণ করে করোনা পরবর্তী কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করতে কাজ করছি।
উপাচার্য আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ক্লাস-পরীক্ষাসহ কয়েকটি বিষয় ‘এসওপি’তে রাখার আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে কোনো কিছুই বলা ঠিক হবে না। ‘এসওপি’র জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি টিম কাজ করবে। তারা এই বিষয়ে আলোচনা করে কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করবেন।