শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Shikkha Bichitra
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » Default Category | তথ্য-প্রযুক্তি | সাক্ষাৎকার » স্টারটেক বর্তমান আইটি মার্কেটে রিটেইল সেলস্ এ মূখ্যভুমিকা রাখছে - মোঃ রাশেদ আলী ভূঁইয়া, চেয়ারম্যান, স্টারটেক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড
প্রথম পাতা » Default Category | তথ্য-প্রযুক্তি | সাক্ষাৎকার » স্টারটেক বর্তমান আইটি মার্কেটে রিটেইল সেলস্ এ মূখ্যভুমিকা রাখছে - মোঃ রাশেদ আলী ভূঁইয়া, চেয়ারম্যান, স্টারটেক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড
৩৪৬৬৪৮ বার পঠিত
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

স্টারটেক বর্তমান আইটি মার্কেটে রিটেইল সেলস্ এ মূখ্যভুমিকা রাখছে - মোঃ রাশেদ আলী ভূঁইয়া, চেয়ারম্যান, স্টারটেক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড

মোঃ রাশেদ আলী ভূঁইয়া, চেয়ারম্যান, স্টারটেক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডজনাব রাশেদ আলী ভূঁইয়া শুধুমাত্র একজন উদ্যোক্তাই নন, একজন তরুণ এবং সফল ব্যবসায়ীও বটে। তিনি স্টারটেক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর চেয়ারম্যান, এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার সমিতির (ইসিএস) এর জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক। আইটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ণি করতে গিয়ে শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করে হয়ে উঠেছেন একজন আইটি ব্যবসায়ী। গড়ে তুলেছেন স্টারটেক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডনামে একটি আইটি কোম্পানী যা আইটি সেক্টরে একটি অতি সুপরিচিত ও অন্যতম নাম।

শিক্ষাবিচিত্রা: আপনার এবং প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছূ বলবেন কি?
মো: রাশেদ আলী ভূঁইয়া: আমি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক এবং স্নাকত্তোর সম্পন্ন করেছি। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর থেকেই আইটি সেক্টরের সাথে যুক্ত আছি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবার পর রেজাল্ট প্রকাশ হবার পূর্ব পর্যন্ত একটি আইটি প্রতিষ্ঠানে হার্ডওয়্যার কোর্সে ইন্টার্ণি করেছি। এরপর দেশের স্বনামধন্য একটি আইটি প্রতিষ্টানে সেলস্ এ কাজ শুরু করি। কাজ করতে করতে আইটি সম্পর্কে আমার ভাল ধারণা সৃষ্টি হয় এবং আমার মধ্যে আইটি পণ্য নিয়ে কাজ করার আগ্রহ জন্মায়। একটা সময় আমি যখন একটি শোরুম চালাতে সক্ষম হয়েছি, তখন আমার মনে হয়েছে যে; আমি আইটি ব্যবসা করতে পারব।

তারপর ২০০৭ সালে ১৭ মার্চ আমরা চারজন সমমনা সহকর্মী মিলে প্রথমে প্রোপাইটর হিসেবে বর্তমান কম্পিউটার সিটি সেন্টার এর লেভেল ৯-এ ব্যবসা শুরু করি। এরপর আমরা লিমিটেড কোম্পানী হিসেবে আত্ম প্রকাশ করি। বর্তমানে আমরা ছয়জন পরিচালক মিলে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করছি। ইতিমধ্যে আমাদের প্রতিষ্ঠান ব্যবসার ১২ বছর পূর্ণ করে ১৩ বছরে পদার্পনকরেছে।বর্তমান মার্কেটে স্টারটেক অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। স্টারটেক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড প্রথমে বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানীতে আইটি পণ্য সরবরাহ করে যাত্রা শুরু করলেও এখন আমরা রিটেইল, ডিসট্রিবিউশন, কর্পোরেট এই তিনটি স্তরেই সমানতালে কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে বলতে পারি যে, আইটি সেক্টরের সমস্ত ব্রান্ড নিয়ে আমরা কাজ করছি। এছাড়া স্টারটেক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডএর নিজস্ব কিছু ব্রান্ড রয়েছে, যা মার্কেটে যথষ্ঠেজনপ্রিয়তা পেয়েছে। এগুলো হলো Asrock, Eset, Gamdias, Razer, Galax, Geil, Maxgreen, Antec, Team, Technoware, Cryorig, Bitfinix, XFX। স্টারটেক বর্তমান আইটি মার্কেটে রিটেইল সেলস্ এ মূখ্য ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে ঢাকায়, আমাদের ৬টি শাখা রয়েছে। এর মধ্যে এলিফ্যান্ট রোডে ৬টি, উত্তরা-তে ১টি, আইডিবি-তে ১টি, প্রগতি সরণি-তে ১টি এবং ঢাকা ছাড়া রংপুর ও চট্রগ্রামে আমাদের ১টি করে শাখা রয়েছে। ভবিষ্যতে স্টারটেক পর্যায়ক্রমে প্রথমে বিভাগীয় এবং পরে জেলা শহর গুলোতে শাখা খোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।

শিক্ষাবিচিত্রা: স্টারটেক এখন পর্যন্ত কতজনের কর্মসংস্থান করতে পেরেছে?
মো: রাশেদ আলী ভূঁইয়া: স্টারটেক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জন কর্মকর্তা ও কর্মীর কর্মসংস্থান করেছে। আমরা কর্মসংস্থান করা ছাড়াও প্রযুক্তির জ্ঞান প্রসারে কাজ করছি। আমাদের এখানে সারা বছর ব্যাপী বিভিন্ন মেয়াদের ইন্টার্ণির ব্যবস্থাও রয়েছে। যারা প্রযুক্তি সম্পর্কে কোন ধারণা রাখে না বা প্রযুক্তি বিষয়ে যাদের কোন জ্ঞান নেইতারা এখানে ইন্টার্ণি করতে পারে। আমাদের অধিকাংশ স্টাফ এই ইন্টার্ণি থেকে আসা।

শিক্ষাবিচিত্রা: প্রযুক্তিগত দিক থেকে আমরা কোন অবস্থানে আছি?
মো: রাশেদ আলী ভূঁইয়া: প্রযুক্তি দিক থেকে আমরা খুব ভালো অবস্থানে আছি এবং বছরের পর বছর ভালোর দিকে যাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বা ভিশন ২০২১ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের যে টার্গেট রয়েছে, আমার মনে হয় আমরা সেটার খুব কাছাকাছি পৌঁছানোর দ্বারে আছি। আপনি খেয়াল করবেন, বাংলাদেশে এখন স্কুল-কলেজগুলো, অফিস-আদালতসহ প্রায়ই সব জায়গায় ফিঙ্গার প্রিন্টসহ নানাবিধ প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। আমরা এখন ঘরে বসে অনলাইনে শপিং করছি এবং একইভাবে অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারছি। অন্যদিকে প্রযুক্তির কল্যাণে শিক্ষা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবায় এসেছে আমূল পরিবর্তন; যেমনঃ আমরা প্রযুক্তির কল্যাণে খুব কম সময়ে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়ের সুবিধা ও সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছি। মফস্বলে থাকা মানুষও এখন তাদের প্রবাসী আত্নীয়-স্বজনদের সাথে মুহূর্তের মধ্যে অনলাইনে সহজে যোগাযোগ করতে পারছে। দেশের প্রতিটি সেক্টরই এখন সর্বশেষ প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে গেছে এবং যাচ্ছেও। এটাই এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।

শিক্ষাবিচিত্রা:যেহেতু আপনি দীর্ঘ এক যুগ ধরে আইটি ব্যবসা করছেন, এক্ষেত্রে আপনি কোন প্রতিবন্ধকতা লক্ষ্য করেছেন কি?
মো: রাশেদ আলী ভূঁইয়া: আইটি সেক্টরে বাধার কথা বলতে গেলে আমি বলব, এই সেক্টরে অনেক বেশি বাকি দিতে হয়। সেটা কর্পোরেট এবং ডিসট্রিবিউশন উভয় ক্ষেত্রে। এ জায়গায় অনেক সময় ভূল বিনিয়োগ হয়ে যায়। কোন কোন সময় দেখা যায় বিভিন্ন কারণে কিছু ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা গুটিয়ে দিয়ে কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে শোরুম বন্ধ করে চলে যান। সেক্ষেত্রে আমাদের পুঁজি হারানোর একটা ভয় থাকে।এমনিতেই এ ব্যবসায় মুনাফার পরিমাণ খুবই সীমিত, এছাড়া চলতি বাজেটে সরকার রাজস্ব বাড়াতে বিভিন্ন আইসিটি পণ্যে ভ্যাট/ট্যাক্স আরোপ করেছে। তবে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ভ্যাট পলিসি আলাদা। ফলে আমরা ব্যবসায়ীরা কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু সমস্যায় পড়ি।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বেশ কিছু বিদেশী অনলাইন শপিং কোম্পানী এসেছে। বিদেশী কোম্পনীগুলো আমাদের আইটি সংগঠনগুলোর সাথে সম্পৃক্ত নয় বলে তারা বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এর এমআরপি নীতিমালা অমান্য করে নিজেদের মতো করে পণ্য বিক্রি করছে। এতে করে আমাদের দেশীয় কোম্পানীগুলো ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বা ভালো করতে পারছে না।

শিক্ষাবিচিত্রা: আইটি ক্ষেত্রে সরকারের কাছে আপনার প্রত্যাশা কি?
মো: রাশেদ আলী ভূঁইয়া: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে এবং সেগুলো সবমহলে সরকারের প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। তারপরও সরকারের কাছে আমার প্রত্যাশা হলো এটাকে সর্বজনীন করে তোলা। বাংলাদেশে যে পরিমাণ কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়, এর বড় একটা অংশ ব্যবহার হয় শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য। এজায়গায় আমরা যদি এর বহুমূখী ব্যবহার করতে পারি তবে আরো ভালো ফল পাব। শুধুমাত্র তরুণ প্রজন্ম নয়, বয়োজ্যেষ্ঠ থেকে শুরু সবাইকে প্রযুক্তিগত শিক্ষার আওতায় আনতে হবে। আমাদের দেশের এমন অনেক প্রবীণ কর্মকর্তা, কর্মচারী রয়েছে যারা কম্পিউটার ব্যবহার করতে জানে না। অথচ এরা প্রতেক্যেই তাদের কর্ম স্থলে সফল এবং বিশাল অভিজ্ঞতার ভান্ডারে সমুদ্ধ। আমরা যদি তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ দিতে পারি তাহলে তারা দেশের জন্য আরো বেশি অবদান রাখতে পারবে। সর্বোপরি আমরা যদি সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়াতে পারি, তাহলে প্রযুক্তি আমাদের দেশ তথা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকে গতিশীল ও উন্নত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

শিক্ষাবিচিত্রা: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মো: রাশেদ আলী ভূঁইয়া: আপনাকেও ধন্যবাদ।



আর্কাইভ