শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Shikkha Bichitra
সোমবার, ৩০ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » দেশজুড়ে » মেট্রোরেল: পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু
প্রথম পাতা » দেশজুড়ে » মেট্রোরেল: পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু
৪১৮ বার পঠিত
সোমবার, ৩০ আগস্ট ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মেট্রোরেল: পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু

---

বাংলাদেশে ব্যয়বহুল প্রকল্প মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষামূলক চলাচল রবিবার (২৯ আগস্ট) শুরু হয়েছে।

এখন পর্যন্ত চারটি স্টেশনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এই চারটি স্টেশনের মধ্যেই রেলটি প্রথম ধাপের পরীক্ষামূলক চলাচল করবে।

উত্তরায় মূল ডিপোটি মাটিতে থাকলেও, পুরো রেলপথটি উড়াল।

উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার। এর মধ্যে মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে।

মেট্রোরেল পুরোপুরি বিদ্যুচ্চালিত রেল। বাংলাদেশে এই প্রথম বিদ্যুচ্চালিত কোন রেল চালু হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্পগুলোর একটি মেট্রোরেল। এটি চালু হলে ঢাকার প্রবল যানজট সমস্যার অনেকাংশে সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই বছর মে মাসের মাঝামাঝিতে মেট্রো রেললাইনে প্রথমবার জাপান থেকে আনা রেল ইঞ্জিন চালিয়ে দেখা হয়।

তবে রবিবার (২৯ আগস্ট) থেকে উড়াল রেল সড়কে মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু করা হয়েছে।

ঢাকার উত্তরা নর্থ স্টেশন থেকে পল্লবী পর্যন্ত আপাতত এই রেলের চারটি বগি চলাচল শুরু করেছে। বাকি দুইটি স্টেশন হলো উত্তরা-উত্তর স্টেশন ও উত্তরা সেন্টার।

আপাতত ছয়মাস এই পরীক্ষা চলমান থাকবে।

যদিও মেট্রোরেলের ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলার ক্ষমতা থাকবে, তবে আপাতত পারফর্মেন্স টেস্টের অংশ হিসাবে পাঁচ কিলোমিটার গতিতে রেলটি চলবে। এরপর আস্তে আস্তে গতি বাড়ানো হবে। সবশেষে ২৫ কিলোমিটার গতিতে রেলটি চালিয়ে দেখা হবে।

আপাতত জাপানি চালকরা এই রেল চালনা করবেন। যখন জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান (কাওয়াসাকি-তিমসুবিশি কনসোর্টিয়াম) রেলগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করবেন, তখন থেকে বাংলাদেশি চালকরা এগুলোর দায়িত্ব নেবেন। এখন চালকদের প্রশিক্ষণের কার্যক্রম চলছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মেট্রোরেল চলাচলের ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ১৯টি ধাপ সম্পন্ন করতে হয়। ফলে বাণিজ্যিকভাবে পুরোপুরি চালু করার আগে এই ১৯টি ধাপ ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, সেটি নিশ্চিত করা হবে।

প্রথম ধাপে পারফর্মেন্স টেস্টের পর ‘ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট’ করা হবে।

এই পরীক্ষায় সব স্টেশনে ঠিক মতো থামছে কিনা, বৈদ্যুতিক সংকেত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা কাজ করছে কিনা, ইত্যাদি বিষয় যাচাই করে দেখা হবে।

সেই সময় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত টেস্ট করা হতে পারে। সেই ধাপটিও ছয়মাস চালানো হবে।

এসব পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর রেলটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রস্তুত বলে ধরে নেয়া হবে।

চলাচলের সময় ২৪ সেট ট্রেন চলাচল করবে। প্রতি সেটে ৬টি করে বগি থাকবে। জাপান থেকে এসব রেল বগি কেনা হচ্ছে।

রবিবার (২৯ আগস্ট) মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল উদ্বোধন করার সময় সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার মেট্রোরেল উদ্বোধন করতে চায়।

”আগামী বছর জুনের মধ্যে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে, এরপর কর্ণফুলী সেতুর উদ্বোধন হবে। এবং বছর শেষে ইনশাআল্লাহ শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প মেট্রোরেল তিনি নিজেই উদ্বোধন করবেন,” বলেছেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এখন পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার উড়াল সড়কের প্রায় সাড়ে ১৬ কিলোমিটার নির্মিত হয়েছে। এ পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের ৬৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

মেট্রোরেল মূলত পল্লবী হয় রোকেয়া সরণি ধরে এগুবে। শাহবাগ, টিএসসি হয়ে চলে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। এর মাঝে ঢাকার ব্যস্ত ফার্মগেট সহ মেট্রোরেল থামবে গুরুত্বপূর্ণ সব স্টেশনে।

মেট্রোরেলে ২৪ টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে ৬০ হাজার যাত্রী আনা নেয়া করতে সক্ষম হবে বলে দাবি করছেন কর্মকর্তারা।

মেট্রোরেলের যাত্রী ভাড়া, কোন স্টেশনে কতক্ষণ থামবে, কত যাত্রী নিয়ে কী গতিতে চলাচল করবে এসব এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

দুই ধাপের পরীক্ষার পর আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চালু করার আগে এসব বিষয় নির্ধারিত হতে পারে।

মেট্রোরেলের পুরো প্রকল্পে খরচ হবে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে জাপানের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা জাইকা দিচ্ছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা।



আর্কাইভ