সোমবার, ৩০ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » তথ্য-প্রযুক্তি | দেশজুড়ে » মোবাইল ইন্টারনেটে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ, দাম বেঁধে দিতে বিটিআরসির কমিটি
মোবাইল ইন্টারনেটে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ, দাম বেঁধে দিতে বিটিআরসির কমিটি
কয়েক বছরের নানা পদক্ষেপের পর এবার মোবাইল ইন্টানেটের দাম বেঁধে দেয়ার বিষয়টি সুরাহা করতে চায় সরকার।
অর্ধ যুগেরও বেশি সময় হতে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম বেঁধে নেয়া নিয়ে নানা উদ্যোগে সক্রিয় দেখা যায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বিটিআরসিকে। কিন্তু নানা কারণে তা ২০২১ সালে এসে ঠেকেছে।
তবে এবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এটি বাস্তবায়নে প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন।
‘আমরা এটা করবো। ইতোমধ্যে ব্রডব্যান্ডে প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকদের জন্য ‘এক দেশ এক রেট’ চালু করা হয়েছে। আইএসপির পাশাপাশি আইআইজি এবং এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানের ট্যারিফ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। মোবাইলেও এটা হবে, এটা বাদ থাকবে না’ টেকশহরডটকমকে বলছিলেন তিনি ।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মতো মোবাইল ইন্টারনেটেও শৃঙ্খলায় থাকবে।
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিটিআরসির কমিটি করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কমিটি কাজ করছে ।
২০১৩ সালে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্য নির্ধারণ করতে চেয়েছিল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তখন বিটিআরসির এই উদ্যোগে অসন্তুষ্ট হয়েছিল মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো।
তখন তারা বলেছিল, মোবাইল ফোন ইন্টারনেটের বাজার এখনও ততোটা পোক্ত হয়নি। সুতরাং আরও খানিকটা সময় দেওয়া উচিত।
এরপর ২০১৬ সালের শুরুতে আবার এই কস্ট মডেল তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু তা আর হয়নি।
মাঝে একবার আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের কাছে এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ পরামর্শক চেয়েছিল বিটিআরসি। কিন্তু বিনা খরচায় আইটিইউ এই পরামর্শক দিতে চায়নি।
এরপর ২০১৭ সালের ২৭ মার্চে ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটির সভায় মোবাইল ইন্টারনেটের দাম বেঁধে দেয়ার বিষয়টি তোলেন মোস্তাফা জব্বার। এতে টাস্কফোর্স বিটিআরসিকে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে এই মডেল তৈরি করে তা জমা দিতে বলেছিল।
ওই সভার নির্দেশনার পর ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে আইটিইউ’র পরামর্শক নিয়োগ দেয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।
পরে আইটিইউ পরামর্শককে দিয়ে ইন্টারনেট বা ডেটার কস্ট মডেলিং করা হয় ।
কিন্তু সেখানে গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় একটি ইস্যু উঠে আসে।
ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সহায়তায় ‘কস্ট মডেলিং’ করা হলেও সেটিকে পাশে রেখে এবার এই মূল্যসীমা নির্ধারণে কাজ শুরু হয়।
এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, কস্ট মডেলিংয়ে পাওয়া তথ্যকে ভিত্তি ধরে কাজ করলে গ্রাহকের খরচ আরও বেড়ে যাবে। তাই ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণে অপারেটগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব চাওয়া হয়।
বর্তমানে কমিটি এসব বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে অংশীজনের মতামত নিয়ে এই দাম নির্ধারণ চূড়ান্ত করবে।