শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Shikkha Bichitra
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » Default Category | বিশ্ববিদ্যালয় » কর্তৃপক্ষ চাইলে পদত্যাগ করবো : জাবি উপাচার্য
প্রথম পাতা » Default Category | বিশ্ববিদ্যালয় » কর্তৃপক্ষ চাইলে পদত্যাগ করবো : জাবি উপাচার্য
৫৫৫ বার পঠিত
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কর্তৃপক্ষ চাইলে পদত্যাগ করবো : জাবি উপাচার্য

কতৃপক্ষ চাইলে পদত্যাগ করবো : জাবি উপাচার্যজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে আন্দোলনকারীরা সংবাদ সম্মেলন করে উপাচার্যকে স্বেচ্ছায় আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে পদত্যাগের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কিংবা মহামান্য রাষ্ট্রপতি যদি নির্দেশ দেন তবে সরে যাবো। যদি আমাকে নির্দেশ না দেন তবে আন্দোলনকারীদের গালমন্দ খেয়েও থেকে যাবো। হয়তো তাদের আন্দোলন আরও দীর্ঘায়িত হবে। কিন্তু নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আমি আমার দায়িত্ব পালন করবো।

উপাচার্য দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, জীবনে ৫শ টাকার বেশি ঈদ সেলামি পাইনি। এতো (অভিযোগ ওঠা দুই কোটি) টাকা আমি দেব কোথা থেকে?

উপাচার্য আরও বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী আমি ইউজিসি এবং প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তাছাড়া আমি কি পারি আর কি পারি না সেটা অধ্যাদেশে বলা আছে। সেখানে নিজেই নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা বলা নেই।

এর আগে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে আলোচনা শুরু হয়ে চলে সাড়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। প্রশাসনের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা মো. মাহতাব-উজ-জাহিদ।

অপরদিকে মঙ্গলবার রাতে চার ঘণ্টারও অধিক সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেনের মুঠোফোন অকার্যকার ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই অভিযোগে তিনি আলোচনা সভা বর্জন করেন।

তিনি বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আছি। তা সত্ত্বেও গতকাল আমার মোবাইল নম্বর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে চার ঘণ্টা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। আমি মনে করি এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। প্রতিবাদ স্বরূপ বিষয়টি রেজিস্ট্রারকে জানিয়েছি এবং আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করিনি।

উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় একনেক। গত ১ মে ছয়টি হলের টেন্ডার আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ। এই কাজের শুরু থেকেই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে টেন্ডার সিডিউল ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে। এছাড়া ঈদের আগে ছাত্রলীগকে দুই কোটি টাকা ‘ঈদ সেলামি’ দেয়ার অভিযোগ ওঠে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের দাবিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

আন্দোলনকারীদের চাপের মুখে গত ১২ সেপ্টেম্বর আলোচনায় দুটি দাবি মেনে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া অপর দাবি ‘তদন্ত কমিটি গঠন’ নিয়ে বুধবার এই আলোচনায় বসে প্রশাসন ও আন্দোলনকারীরা।



আর্কাইভ