রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » Default Category | বিশ্ববিদ্যালয় » ‘৩৪ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে ঢাবিকে কলঙ্কমুক্ত করুন’
‘৩৪ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে ঢাবিকে কলঙ্কমুক্ত করুন’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৪ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করছে সাদা দল। এতে নেতৃত্ব দেন সাদা দলের আহ্ববায়ন এবিএম ওবায়দুল ইসলাম।
১৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ঢাবির রাজু ভাষ্কর্যের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে নেতারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেবল আমাদের নয়, বরং গােটা জাতির গৌরব ও অহংকারের প্রতিষ্ঠান। এদেশের সকল ইতিবাচক অর্জনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক ভূমিকা সর্বজনবিদিত। কিন্তু আমাদের এ গর্বের প্রতিষ্ঠানটি আজ নানা কারণে সমালােচিত এবং জাতির কাছে এর অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ।
তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারা এদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে পরম কাঙ্ক্ষিত বিষয়। কখনাে কখনাে ছােট-খাট ত্রুটি বিচ্যুতি ঘটলেও এতদিন পর্যন্ত সাধারণভাবে আমাদের ভর্তি প্রক্রিয়া বিতর্কের উর্ধ্বে ছিল। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকেও বিতর্কিত করা হয়েছে।
‘একটি অনুষদে পরপর তিনবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযােগ এবং গত বছর এ জন্য ভর্তি পরীক্ষা বাতিল জাতির সামনে আমাদের ভাবমূর্তিকে চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সমর্থক একটি ছাত্র সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান ৩৪ জন নেতাকে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনসুরেন্স বিভাগের অধীনে পরিচালিত ‘মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে’ বিনা ভর্তি পরীক্ষায় অবৈধ প্রক্রিয়ায় ভর্তি করা হয়।’
নেতারা বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর পর গত মার্চ মাসে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আমরা আশান্বিত হয়েছিলাম। কিন্তু আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ করলাম ডাকসু নির্বাচন আয়ােজনের শুরু থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন নানা অনিয়ম ও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচনটিকে প্রশ্নবিব্ধ ও কলঙ্কিত করেছে। এ অনিয়মের একটি অন্যতম বড় নজির হলাে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ার সমস্ত প্রচলিত নিয়ম ও বিধি-বিধানকে উপেক্ষা করে “মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রােগ্রামে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি এবং ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানাে। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ ও গর্হিত অপরাধ।
তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কমুক্ত করা এবং এর ঐতিহ্য ও গৌরব সমুন্নত রাখার স্বার্থে অবিলম্বে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ভর্তি হওয়া ৩৪ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল এবং এর সাথে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।