কমনওয়েলথ বৃত্তি
কমনওয়েলথ বৃত্তির পরিচিতি
১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিশন (সিএসসি)
প্রায় ৩৫০০০ জন এখন পর্যন্ত কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ পেয়েছেন
কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি দেশের তরুণ শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জন্য দেওয়া হয় ৮০০টি বৃত্তি (স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ও স্প্লিট–সাইট স্টাডি)
কমনওয়েলথ কমিশন সচিবালয়, লন্ডনের মাধ্যমে আর্থিক অনুদান দেয় যুক্তরাজ্য সরকারের ‘আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ বা ডিএফআইডি’
কীভাবে জানবেন বৃত্তির তথ্য
www.cscuk.dfid.gov.uk
কমনওয়েলথ বৃত্তি–সংক্রান্ত বেশির ভাগ তথ্য পাওয়া যাবে এই অফিশিয়াল ওয়েবপেজে
www.ugc.gov.bd
প্রতিটি দেশের জন্য পৃথক মনোনীত প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত আছে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটি হলো আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। প্রতিবছর ইউজিসি কমনওয়েলথ স্কলারশিপের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরখাস্ত আহ্বান করে। যে কেউ ইউজিসির ওয়েবসাইট থেকে বৃত্তিসংক্রান্ত সার্কুলার দেখতে পারেন।
www.scholars4dev.com
ই–মেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারেন। তাহলে আপনার ই-মেইলেই সময়মতো বিজ্ঞপ্তি পৌঁছে যাবে।
www.britishcouncil.org.bd
এ ছাড়াও কমনওয়েলথ বৃত্তি সংক্রান্ত নানা তথ্য পাওয়া যাবে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে। ফেসবুক পেজেও হালনাগাদ তথ্য দেওয়া হয়।
বৃত্তির ধরন
উন্মুক্ত (ওপেন)
শর্তপূরণ সাপেক্ষে যে কেউ আবেদন করতে পারেন। বাংলাদেশে আবেদন করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে।
স্টাফ
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে (যেমন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা উন্নয়ন সহযোগী) কর্মরত কর্মীদের (স্টাফ) জন্য প্রযোজ্য। প্রতিষ্ঠান থেকেই যাচাই–বাছাই করে কয়েকজনের নাম ইউজিসির কাছে প্রস্তাব করা হয়।
শেয়ারড
শেয়ারড স্কলারশিপের ক্ষেত্রে দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদন না করে সরাসরি যুক্তরাজ্যে অবস্থিত যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক, সে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হয় এবং কমনওয়েলথ শেয়ারড স্কলারশিপের অধীনে অর্থায়ন পেতে ইচ্ছুক বলে বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাতে হয়। তখন বিশ্ববিদ্যালয় যাচাই–বাছাই করে কমনওয়েলথ কমিশন সচিবালয়কে জানিয়ে দেয়।
কারা আবেদন করতে পারবেন
ক. কমনওয়েলথভুক্ত যেকোনো দেশের নাগরিকের জন্যই এই বৃত্তির দরজা খোলা। তবে মেধাবী তরুণ ও পেশাজীবীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। বিশেষ করে যাঁরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি-বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান, পাবলিক সার্ভিস ও বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
খ. আবেদনকারীর কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির (২:১) স্নাতক বা স্নাতকোত্তর থাকতে হবে, যা সিজিপিএ ৩.০–এর সমতুল্য। তবে সিজিপিএ যত বেশি হবে, বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।
গ. যাঁরা আগে বিদেশে থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন, তাঁরা স্নাতকোত্তরের জন্য বিবেচিত হবেন না। তবে অন্য কোনো বৃত্তির অধীনে স্নাতকোত্তর করে থাকলে পিএইচডিতে আবেদন করতে পারবেন।
ঘ. দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানে পিএইচডির জন্য নিবন্ধন করলে বৃত্তির জন্য বিবেচিত হবেন না।
ঙ. কমনওয়েলথভুক্ত বা নিজ দেশের বাইরে অবস্থানকালে কেউ আবেদন করলে গ্রহণযোগ্য হবেন না।
চ. যুক্তরাজ্যে কেউ শিক্ষারত অবস্থায় এই স্কলারশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না।
ছ. উচ্চশিক্ষা শেষে অবশ্যই নিজ দেশে ফেরত আসতে হবে।
কমনওয়েলথ বৃত্তির আর্থিক সুবিধা
১. স্নাতকোত্তর বা পিএইচডির সম্পূর্ণ টিউশন ফি বহন করবে কমনওয়লেথ কমিশন
২. যুক্তরাজ্যে যাওয়া–আসার বিমানের টিকিট।
৩. লন্ডনের বাইরে থাকলে মাসিক ভাতা হিসেবে দেওয়া হয় ১ হাজার ৮৬ পাউন্ড বা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। লন্ডনের ভেতরে থাকলে ভাতার পরিমাণ ১ হাজার ৩৩০ পাউন্ড বা ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
৪. মাসিক ভাতার বাইরেও এককালীন ৪২১ পাউন্ড (প্রায় ৪৬ হাজার টাকা) পাওয়া যাবে।
৫. ‘স্টাডি ট্রাভেল গ্র্যান্ট’ হিসেবে ২০০ পাউন্ড বা প্রায় ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে।
৬ ‘থিসিস গ্র্যান্ট’ হিসেবে দেওয়া হয় ২২৫ পাউন্ড বা প্রায় ২৫ হাজার টাকা।
৭. এ ছাড়া কমনওয়েলথ কমিশন কর্তৃক আয়োজিত যেকোনো প্রশিক্ষণ, স্বল্পমেয়াদি কোর্স, ওয়েলকাম ইভেন্ট ও আঞ্চলিক সম্মেলন যোগদানের জন্য ট্রেনের টিকিট, থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা করা হয়।
(এখানে সুযোগ–সুবিধাগুলো দেওয়া হয়েছে ২০১৭ সালের নিয়ম অনুযায়ী)