সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » তথ্য-প্রযুক্তি | প্রবাস » জাপানে প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশিদের চাহিদা বাড়ছে: রাষ্ট্রদূত
জাপানে প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশিদের চাহিদা বাড়ছে: রাষ্ট্রদূত
জাপানের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি বলেন, দূতাবাসের সঠিক উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনার কারণে জাপানের প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশিরা দক্ষতার সাথে কাজ করছেন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাপান গেলে জাপানে চাকরির সুযোগ পাবেন এবং অন্যরা জাপানের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও’র বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে প্রশিক্ষণার্থীদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, গত জানুয়ারিতে টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও ফুজিতসু রিসার্চ ইনস্টিটিউট যৌথভাবে জাপানে বাংলাদেশের তথ্য -প্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা নিয়ে ফুজিতসু সেমিনারের আয়োজন করে যেখানে দেশটির বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক প্রতিনিধি যোগদান করেন। সেমিনারে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয় ফলশ্রুতিতে জাপানি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর জুন মাসে ঢাকায় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং ফুজিতসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, সমঝোতা স্মারকের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ফুজিতসু রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ার, গ্র্যাজুয়েট ও প্রফেশনালদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে যাতে তারা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত সম্পর্কে জাপানি ব্যবসায়ীদের অবহিত এবং বিনিয়োগে সহায়তা করতে পারবে।
ফুজিতসু রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রেসিডেন্ট হিদেকি কিওয়াকি বলেন, তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে আইটি ব্যবসার কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা এবং বাংলাদেশকে ‘বিগ ডাটা’, এ. আই, রোবটিক্স ইত্যাদি প্রযুক্তিতে দক্ষ মানব-সম্পদ তৈরিতে সহায়তা করা। এ লক্ষ্যে জাপানের ফুজিতসু রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের ৫০ জন তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলীকে তিন মাসের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাপানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা, বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগের যুগ্মসচিব মো. খায়রুল আমিন এবং ফুজিতসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হিদেকি কিওয়াকি, আগত প্রশিক্ষণার্থীসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও ২০১৭ সালে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সাথে অনুরূপ একটি উদ্যোগ নিয়েছিল যা ‘মিয়াজাকি মডেল’ নামে পরিচিত। মডেলটির মাধ্যমে জাইকা বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ কর্মীদের বাংলাদেশেই প্রশিক্ষণ প্রদান এবং পরবর্তীতে জাপানে নিয়োগের ব্যবস্থা করছে।