শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Shikkha Bichitra
বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » Default Category | স্বাস্থ্য » ঘরেই রয়েছে শিশুর সর্দি-জ্বরের চিকিৎসা
প্রথম পাতা » Default Category | স্বাস্থ্য » ঘরেই রয়েছে শিশুর সর্দি-জ্বরের চিকিৎসা
৫৪৫ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঘরেই রয়েছে শিশুর সর্দি-জ্বরের চিকিৎসা

ঘরেই রয়েছে শিশুর সর্দি-জ্বরের চিকিৎসাশিক্ষাবিচিত্রা ডেস্ক: এই গরম এই ঠান্ডা আবার বৃষ্টি আবহাওয়ার এমন পরিবর্তন সবার জন্য ক্ষতিকর। তবে এর বেশি প্রভাব পড়ে শিশুদের ওপর। প্রায়ই শিশুরা ঠান্ডা-সর্দিতে আক্রান্ত হয়। সতর্ক থাকার পরও বছর জুড়েই এমনটি লেগেই থাকে। শীতকালে অবশ্র শিশুর সর্দি-জ্বরের প্রভাব বেড়ে যায়।

এসব রোগে শিশুরা বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যায়। তাই যত দ্রুত সম্ভব ঠান্ডা-সর্দি সারানোর চেষ্টা করতে হবে। এজন্য ঘরে বসেই কয়েকটি উপায়ে ঠান্ডা-সর্দির চিকিৎসা করতে পারবেন-

মায়ের দুধ

ঠান্ডা-সর্দিতে আক্রান্ত হওয়া শিশুর জন্য সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ হলো মায়ের দুধ। এমনকি যেকোনো রোগের জন্যই এটা উপকারী। বিশেষ করে ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের যেকোনো ইনফেকশন নিরাময়ে কাজ করে এটি। তাই ঠান্ডা-সর্দিতে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ান।

নাকের ড্রপ

ঠান্ডায় শিশুর নাক বন্ধ হয়ে গেলে নাকের ড্রপ ব্যবহার করুন। সর্দিতে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন এটা বাচ্চা জন্মের শুরুতেই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন। ড্রপ বাসায় না থাকলে আপনি নিজেও স্যালাইন ড্রপ তৈরি করতে পারবেন। এজন্য আধা চা-চামচ লবণ ও ৮ চা-চামচ পরিশোধিত গরম পানি মেশাতে হবে। তারপর সেটা ব্যবহার করতে হবে। তবে চা-চামচ ব্যবহার করার অবশ্যই সেটা জীবানুমুক্ত করে নিন।

সরিষা তেল

শিশুর ঠান্ডা-সর্দিতে গরম সরিষা তেল মালিশ করুন। এক কাপ সরিষা তেল হালকা গরম করে এতে রসুনের দুটি কোয়া মেশান। তারপর শিশুর পায়ের তলায়, বুক, পিঠ এবং হাতের তালুতে মালিশ করুন। শরীরে লেগে থাকা অতিরিক্ত তেল নরম কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। এভাবে তেল মালিশ করলে ঠান্ডা-সর্দি থেকে মুক্তি পাবে শিশুরা।

তুলসী পাতা

ঠান্ডা-সর্দিতে তুলসী পাতা খুবই কার্যকরী। বিশেষ করে শিশুদের জন্য তুলসী পাতার রস দারুণভাবে কাজ করে। এজন্য তুলসী পাতার রস করে শিশুকে কিছুক্ষণ পর পর খাওয়ান। এতে সে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠবে।

তবে মনে রাখবেন, শিশু যা করতে চায় না সেটা নিয়ে জোর করবেন না। একটা না করতে চাইলে অন্য কোনো উপায় অবলম্বন করুন। আর ঠান্ডা-সর্দি নিয়ে মোটেও অবহেলা করা যাবে না। এতে নিউমোনিয়ার মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে।



আর্কাইভ