বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » মাধ্যমিক বিদ্যালয় | শিক্ষাঙ্গন » ২রা নভেম্বর শুরু হচ্ছে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ এবং জাতির ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না
২রা নভেম্বর শুরু হচ্ছে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ এবং জাতির ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না
আগামী ২রা নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। এবারে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা ২ লাখ ১৮ হাজার ২৯২ জন বেশি। এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন। তার মধ্যে ছাত্র ১২ লাখ ২১ হাজার ৬৯৫ জন এবং ছাত্রী ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৭ জন। গতকাল সকালে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষামন্ত্রী অভিভাকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অনৈতিক কোন কাজের পিছনে ছুটবেন না। নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ এবং জাতির ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না। মন্ত্রী আরো বলেন, যদি কেউ অনৈতিক কোন কাজে জড়িত হয় অথবা ফেইসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব রটায় তাহলে আমাদের আইনশৃঙ্খলা এবং গোয়েন্দা বাহিনী অত্যন্ত তৎপর রয়েছে এবং যারা এ ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িত থাকবে তাদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
আরো জানানো হয়, এ বছর বিদেশে মোট ৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা, ত্রিপলি, দোহা, সাহাম, বাহরাইন, আবুধাবি ও দুবাই।
বিদেশের কেন্দ্রসমুহের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫৪ জন। এছাড়াও পরীক্ষা ঘিরে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এগুলোর মধ্যে গুরত্বপূর্ণ হলো, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে আসতে হবে। তবে অনিবার্য কারণে কোন পরীক্ষার্থীকে এ সময়ের পরে হলে প্রবেশ করতে দিলে তার/তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, দেরি হওয়ার কারণ ইত্যাদি লিখিত দিতে হবে। শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত ২০ মিনিট এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পলসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তাদের জন্য শ্রুতি লেখকের সুযোগ রাখা হবে। পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্রের ২শ’ মিটারের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যে কোন ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহা. জিয়াউল হক প্রমুখ।