মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » শিক্ষাঙ্গন | সংগঠন সংবাদ » বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরাও পাবেন গৃহঋণ সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরাও পাবেন গৃহঋণ সুবিধা
এবার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী স্বল্প সুদে গৃহনির্মাণ ঋণ পেতে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতির পর উদ্যোগটি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা চূড়ান্ত হয়েছে।
সোমবার অর্থমন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুবিভাগ-১ এর অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমানের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন শিক্ষক প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, সরকারি চাকরিজীবীরা ৫৮ বছর বয়স পর্যন্ত ঋণের আবেদনের সুযোগ পেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা ৬৪ বছর বয়স পর্যন্ত ঋণের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিজীবীদের বয়স ৬৪ বছর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ রেখে এ ঋণ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। ঋণের সুদের হার হবে পাঁচ শতাংশ। চলতি মাসেই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা ৬৪ বছর পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে এ মাসেই বিষয়টিতে অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবে। অনুমোদনের পর এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।’
এর আগে গত ৩০ জুলাই অর্থ বিভাগ পাঁচ শতাংশ সরল সুদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণ দিতে ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং-ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’ জারি করে।
চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা এই ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন। ঋণের সীমা ঠিক করা হয়েছে ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
এই ঋণের জন্য ব্যাংক ১০ শতাংশ হারে সরল সুদে ঋণ নিলেও ঋণ গ্রহীতাকে দিতে হবে পাঁচ শতাংশ। সুদের বাকি ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে পরিশোধ করবে। দেশে এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৪৫টি রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষকসহ প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।