রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » সংগঠন সংবাদ » নাটোর থেকে সেরা লেখক ও সংগঠকের সম্মাননা পেলেন প্রকৌঃ জুনায়েদ আহমেদ
নাটোর থেকে সেরা লেখক ও সংগঠকের সম্মাননা পেলেন প্রকৌঃ জুনায়েদ আহমেদ
বাংলাদেশ কবি-লেখক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও কৃতি ‘কবি-লেখক ও গুণীজন সম্মাননা-২০১৯’ তে নাটোর জেলা থেকে সেরা লেখক ও সংগঠকের সম্মাননা পেয়েছেন প্রকৌঃ জুনায়েদ আহমেদ (সৈকত)। গতকাল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে সারাদিনব্যাপি অনুষ্ঠিত হয় উক্ত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটি। এতে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে বাংলাদেশ ও ভারতের খ্যাতনামা সব কবি, লেখক ও সাহিত্যিকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথিবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, তারুণ্যের কবি রেজাউদ্দিন স্ট্যালিন, ছড়াকার আসলাম সানি, দেশবরেণ্য আবৃত্তিকার মাহিদুল ইসলাম মাহি, মাহমুদুল হাসান নিজামী, কবি ও অভিনেতা এবিএম সোহেল রশিদ, কামরুল ইসলাম, জ্ঞানতাপস ও গবেষক প্রাকৃতজ শামিমরুমি টিটন, শামসুদ্দিন হেলাল, সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ, স্বদেশ কবি আবু বক্কর সিদ্দিক ও জাকির আবু জাফরসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন কবি মাইদুল ইসলাম মুক্তা। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ এবং ভারতের কোলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের অনেক কবি-সাহিত্যিক অংশ নেন।
উল্লেখ, নাটোর জেলা হতে সম্মাননা প্রাপ্ত প্রকৌঃ জুনায়েদ আহমেদের বাড়ি সিংড়া উপজেলায়। তিনি সিংড়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আলহাজ আব্দুল আজিজ মাস্টারের পুত্র এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী অনুষদের অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদের ছোট ভাই। তিনি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এর ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ হতে এম.এস.সি ও বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী গ্রহণ করেন এবং বর্তমানে বিএসটিআই-তে কর্মরত আছেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি লেখালেখি এবং সমাজসেবামূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন বেশকিছু পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি ছিলেন এবং ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ভয়েস’ এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, আই.ই.বি, রিওসা ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি সহ আরও অনেক সংগঠনের আজীবন সদস্য হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন। তার লেখা বহু গল্প ও কবিতা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। তার সম্পাদিত উল্লেখযোগ্য ছোটগল্পের বই ‘জোনাকী পোকা’ এবং উপন্যাস ‘কাশেম আলীর রেডিও’।