বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্য » সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডায়াবেটিস অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব: তাজুল ইসলাম
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডায়াবেটিস অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডায়াবেটিস অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগে বারডেম মিলনায়তনে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি কর্তৃক ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আসুন, পরিবারকে ডায়াবেটিস মুক্ত রাখি’।
তিনি বলেন, ডায়াবেটিস আমাদের সুন্দরভাবে জীবনযাপনকে ব্যাহত করে। সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডায়াবেটিস অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এজন্য সার্বিক সচেতনতার পাশাপাশি পরিমিত খাবার গ্রহণ ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা দরকার।’
ডেঙ্গু পরিস্থিতির উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন কীটনাশক ছিটানোর চেয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছি তখন ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে এসেছে। ’
তিনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠদান কার্যক্রমে এ রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্তি করার আহবান জানান।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মো. ফারুক পাঠান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক জাফর এ লতিফ। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক মো. সাইফ উদ্দিন।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৭০ লক্ষ, যা ২০৪০ সাল নাগাদ ১ কোটি ৪০ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে। ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম প্রতিষ্ঠিত বারডেম ৫০ হাজার রোগীর কথা চিন্তা করে প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমানে সেখানে রেজিস্টার্ড ডায়াবেটিস রোধীর সংখ্যা প্রায় ৬ লক্ষ। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি পরিবারেই এক বা একাধিক ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে।’
বক্তারা জাতীয় ডায়াবেটিস প্রতিরোধ নীতি ২০১৩ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন।