রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » বিশ্ববিদ্যালয় | শিক্ষাঙ্গন » বশেমুরবিপ্রবিতে ১৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বশেমুরবিপ্রবিতে ১৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ১৩ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬ জনকে গেল ২১ সেপ্টেম্বর সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় সম্পৃক্ত থাকার কারণে এবং ৭ জনকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ইন্জিনিয়ারিং অনুষদের (এ ইউনিট) ভর্তি পরিক্ষায় প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দুইটি আলাদা অফিস আদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নুরুদ্দীন আহমেদ এ বহিষ্কার আদেশ প্রদান করেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় সম্পৃক্ত থাকায় বহিষ্কৃত হওয়া ৬ শিক্ষার্থী হলেন- ম্যানেজমেন্ট বিভাগের রাফিজুল ইসলাম, নুরুদ্দীন নাহিদ, আরিফুল ইসলাম সাকিব, মাজহারুল ইসলাম মিশন, রাহাত আল আহসান ও ইসমাইল শেখ। এদের মধ্যে ইসমাইল শেখকে দুই সেমিস্টারের জন্য এবং অবশিষ্ট ৫ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে গত ৫ নভেম্বর এই ছয় শিক্ষার্থীকে শোকজ নোটিশ প্রদান করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নুরুদ্দীন আহমেদ বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে ২০ অক্টোবর গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এই বহিষ্কার আদেশ প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে, ভর্তি প্রতারণা চক্রের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বহিষ্কৃত সাত শিক্ষার্থী হলেন- এ আই এস বিভাগের এমবিএ শিক্ষার্থী বাবু শিকদার বাবু, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের (৩য় বর্ষে) শিক্ষার্থী মো. নয়ন খান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের (৩য় বর্ষে) নিয়ামুল ইসলান, আইন বিভাগের (৩য় বর্ষ) অমিত গাইন, আইন বিভাগের (২য় বর্ষ) মানিক মজুমদার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (২য় বর্ষ) রনি খান ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের (৩য় বর্ষে) মনিমুল হক। এই সাত শিক্ষার্থীকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর ইন্জিনিয়ারিং অনুষদের (এ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষার পূর্বে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রণিসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করে। পরবর্তীতে ঘটনার সত্যতা নিরুপনের লক্ষে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং তাদের সাক্ষ্য অনুযায়ী এই সাত শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
কেএস