মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » » মঠবাড়িয়ায় জালিয়াতি করে ইবতেদায়ি শিক্ষাবৃত্তি
মঠবাড়িয়ায় জালিয়াতি করে ইবতেদায়ি শিক্ষাবৃত্তি
মঠবাড়িয়া পৌর এলাকার টিকিকাটা আ. ওহাব বালিকা আলিম মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিনব কায়দায় জালিয়াতির মাধ্যমে ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলে শতভাগ বৃত্তি লাভের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ছালেহিয়া পশ্চিম ছোট মাছুয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মনিরুল ইসলাম এই জালিয়াতি তদন্তে চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে (কেস নং ৫৬/২০১৯) বরিশালের দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক, জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ইউএনও বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে অনুলিপি প্রেরণ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রে ২০১৮ সালের ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ওই মাদ্রাসা থেকে ৬৪ পরীক্ষার্থী অংশ নিলে অধ্যক্ষ মাওলানা মো. বেলায়েত হোসেন ও সহকারী মৌলভি আ. হালিমের জালিয়াতির মাধ্যমে ৬৩ পরীক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বৃত্তি লাভ করে। যাতে অন্যান্য মাদ্রাসার মেধাবী শিক্ষার্থীরা বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়। একই মাদ্রাসার এই ফলাফলে উপজেলাজুড়ে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সহকারী মৌলভি তাদের মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীদের খাতার সিরিয়াল নম্বর সংগ্রহ করে প্রধান পরীক্ষক খাতা পরীক্ষণ করার সময় সন্ধ্যা পর্যন্ত খাতা ও নম্বর ফর্দ তাদের কাছে ছিল।
এ সময় প্রধান পরীক্ষকের সহযোগিতায় খাতার নম্বর ফর্দ অসদুপায় অবলম্বন করে এবং উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সহযোগিতা ও টাকার বিনিময়ে ৬৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৩ জনকে তারা জিপিএ ৫ পাইয়ে দেন। এ বিষয়ে সংশ্নিষ্ট প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ৫৬নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি খাতায় একজন পরীক্ষকের নম্বর ফর্দে ১০ জন ছাত্রছাত্রীর যে নম্বর আছে তার চেয়ে কম্পিউটারকৃত মার্কশিটে বেশি নম্বর দিয়ে জিপিএ ৫ প্রদান করেছেন।
এদিকে টিকিকাটা আ. ওহাব বালিকা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. বেলায়েত হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীরা মেধার ভিত্তিতে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে বৃত্তি লাভ করে।
এ বিষয়ে ইউএনও জিএম সরফরাজ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।