শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Shikkha Bichitra
শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » দেশজুড়ে » নাগরিক ঐক্যে’র সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে বক্তরা একাত্তরের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে
প্রথম পাতা » দেশজুড়ে » নাগরিক ঐক্যে’র সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে বক্তরা একাত্তরের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে
৮৭৭৫৭ বার পঠিত
শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নাগরিক ঐক্যে’র সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে বক্তরা একাত্তরের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে

<small>নাগরিক ঐক্যে’র সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে বক্তরা</small> একাত্তরের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবেস্থানীয় উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরী মিলেনায়তনে খুলনার তিন মুক্তিসেনার সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে বক্তরা, যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা এবং রাজাকারদের সঠিক তালিকা প্রণোনায়নো জন্য সাংবাদিক ও গবেষকদের প্রতি আহবান জানান।

গবেষক ও সাংবাদিকদের প্রণীত ইতিহাসে আগামী প্রজন্ম একাত্তরের সঠিক তথ্য জানতে পারবে। গবিত মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, বিজয়ের মাসে রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকা জাতিকে বিস্মিত করেছে। সকল প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে সাংবাদিকরাই পারবে আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে। কোন কিছুর বিনিময় নয় মাসের যুদ্ধের ইতিহাসকে গোপন করা যাবে না।

গতকাল বিকেলে নাগরিক ঐক্য, খুলনা মহানগর শাখার আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নগর নাগরিক ঐক্যে’র আহবায়ক এ্যাডঃ ড. মোঃ জাকির হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন, সংবিধান প্রণেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডঃ মোঃ এনায়েত আলি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা আয়কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এস এম শাহনেওয়াজ আলী। সংবর্ধিত অতিথিদের পক্ষ থেকে মুজিববাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার এ্যাড. স ম বাবর আলী ও ডেপুটি কমান্ডার মোঃ ইউনুস আলী ইনু’র কন্যা নুরুন নাহার ইতি বক্তৃতা করেন। স্বাগত ভাষণ দেন, খালিশপুর থানার নাগরিক ঐক্যে’র আহবায়ক এ্যাড. নজরুল ইসলাম খান। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল হক খোকন, এ্যাড. অচিন্ত দাস। সংবর্ধিত অতিথিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন, এ্যাড. সাকিরা ইয়াসমিন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, অধিকারের ভোকাল মুহাম্মাদ নুরুজ্জামান ফকির।

স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে সংবিধান প্রণেতা ও ৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এ্যাড. মোঃ এনায়েত আলি বলেন, যুদ্ধ না করেও যোদ্ধার তালিকায় অনেকের নাম থাকায় তারা ভাতা পাচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধোর সংগঠকরা তাদের প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে স ম বাবর আলী বলেন, তিনি এবারের বিজয় দিবসে কোন সরকারি বা বেসরকারি অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাননি। একাত্তরে খুলনা ও সাতক্ষীরায় ১৯ টি যুদ্ধের কমান্ড করেছেন। শত শত যুবককে ট্রেনিং দিয়ে যুদ্ধে অংশ নিতে উদ্ভুদ্ধ করেছিলেন। সত্যিকারের যোদ্ধারা সরকারি কমচারীদের চেয়েও কম ভাতা পাচ্ছেন। তিনি বলেন ভোটের নামে প্রহসন ও ব্যালেট পেপার রাতে বাক্সে ভতি করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি। ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন অনেক আত্মীয় স্বজন ভারতে অবস্থান করে কিভাবে যুদ্ধাহত বলে দাবি করেন?

অনুষ্ঠানে বক্তারা প্রশ্নবিদ্ধ রাজাকারের তালিকা প্রহসন বলে উল্লেখ করেন। বলেন, অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ওপর জোর দিতে হবে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের তালিকা প্রণয়নে সাংবাদিকাই বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী ইনুর কন্য নুরুন নাহার ইতির চাকুরীর সুযোগ সৃষ্টি জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

সংবর্ধিত অতিথিরা হচ্ছেন, বৃহত্তর খুলনা মুজিব বাহিনীর প্রধান ও বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম বাবর আলী, মুক্তিযুদ্ধকালীন জেলা মুজিব বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী ইনু।



আর্কাইভ