শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Shikkha Bichitra
রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » তথ্য-প্রযুক্তি » ফেসবুকে বিপজ্জনক কন্টেন্ট বন্ধে রাষ্ট্রগুলোর প্রতি কঠোর আইন করার আহ্বান মার্ক জাকারবার্গের
প্রথম পাতা » তথ্য-প্রযুক্তি » ফেসবুকে বিপজ্জনক কন্টেন্ট বন্ধে রাষ্ট্রগুলোর প্রতি কঠোর আইন করার আহ্বান মার্ক জাকারবার্গের
৬৮২৯৭ বার পঠিত
রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ফেসবুকে বিপজ্জনক কন্টেন্ট বন্ধে রাষ্ট্রগুলোর প্রতি কঠোর আইন করার আহ্বান মার্ক জাকারবার্গের

<small>ফেসবুকে বিপজ্জনক কন্টেন্ট বন্ধে</small> রাষ্ট্রগুলোর প্রতি কঠোর আইন করার আহ্বান মার্ক জাকারবার্গেরফেসবুকে বিপজ্জনক অনলাইন কন্টেন্ট বন্ধের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রতি আরো কঠোর আইন করার আহ্বান জানিয়েছেন ফেসবুকের প্রধান মার্ক জাকারবার্গ। রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বিষয়ে ফেসবুকের নীতির কারণে তার এই ফেসবুক ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছে। এ নিয়ে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে তাকে। এরই প্রেক্ষিতে জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা বিষয়ক এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মার্ক জাকারবার্গ। এতে তিনি বলেন, কোন বক্তব্য আইনসম্মত ও বৈধ কিনা তা বিচার করা ফেসবুকের মতো কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ হতে পারে না। তবে একই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করা হলে সেটি মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ বিষয়ে জাকারবার্গ চীনের উদাহরণ দেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইনে মিথ্যা খবর ও গুজব ছড়ানো বন্ধের জন্য ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে।
এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি আরো লিখেছে, ফেসবুক ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এবং পরের বছর সারা বিশ্বের জন্য রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বিষয়ে নতুন নীতিমালা চালু করে। নীতিমালার মধ্যে অন্যতম ছিল, নির্দিষ্ট ওই প্রচারণার জন্য অর্থ প্রদানকারীর নাম-পরিচয় বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করতে হয়, এবং ওই বিজ্ঞাপনের একটি কপি পাবলিকলি সার্চ করা যায় এমন ডাটাবেজে পরবর্তী সাত বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু এ সপ্তাহে ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার তারকাদের স্পন্সর করা রাজনৈতিক পোষ্ট সংস্থাটির ডাটাবেজে আর সংরক্ষণ করা হবে না। তাছাড়া কোম্পানির নীতি অনুযায়ী রাজনীতিবিদদের পোষ্টগুলোর সত্যমিথ্যাও সবসময় যাচাই করা হয় না। যে কারণে ওই সম্মেলনে জাকারবার্গ আইন কঠোর করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, সমাজে সমতার ভারসাম্য রক্ষার কাজটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বদলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নেবে এমনটা চাই না আমরা। তার বদলে জাকারবার্গ সরকারকেই সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান। তিনি মনে করেন, বর্তমানে প্রচলিত টেলিকম ও মিডিয়া কোম্পানি আইনের মিশেলে হতে পারে সেই আইন। তিনি বলেন, সে ধরণের একটি আইন প্রণয়ন হবার আগ পর্যন্ত আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু করতে থাকবো। তবে জাকারবার্গ স্বীকার করেন, ফেসবুকে রাশিয়ার মতো বিভিন্ন রাষ্ট্রচালিত সংগঠিত তথ্য প্রচারণা শনাক্ত করতে সংস্থাটির দেরি হয়েছিল। আবার অন্যদিকে, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া ও বিপজ্জনক কন্টেন্ট তৈরি করে তারাও নিজেদের পরিচয় গোপন করতে, আইপি অ্যাড্রেস লুকিয়ে রাখার কাজে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩৫ হাজার কর্মীর একটি দল রয়েছে ফেসবুকের, যাদের কাজ প্রতিটি কন্টেন্টের মূল্যায়ন এবং এর নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখা। কৃত্রিম বুদ্ধির সাহায্যে সংস্থাটি প্রতিদিন দশ লাখের বেশি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে। তিনি বলেন, কন্টেন্ট রিভিউ করা জন্য এখন আমাদের যে বাজেট, তা ২০১২ সালে যখন আমরা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হই সে সময় কোম্পানির মূল আয়ের চেয়ে বেশি। সে সময় আমাদের ব্যবহারকারী ছিল একশো কোটি মানুষের মতো। এদিকে, ভুয়া খবর, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা ইত্যাদি নিয়ে নানামুখী সমালোচনার মধ্যেই ফেসবুক এবং এর সহযোগী প্ল্যাটফর্মসমূহ যেমন মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামে ব্যবহারকারীর সংখ্যা এবং এ থেকে আয় বেড়ে চলছে। এ মাসের শুরুতে হোয়াটসঅ্যাপ জানায় বিশ্বব্যাপী তাদের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দুই শো কোটি মানুষ, যা পুরো বিশ্বে মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ।



আর্কাইভ