রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » শিক্ষা | শিক্ষাঙ্গন » স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষার্থীদের উল্লাস
স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষার্থীদের উল্লাস
দেশের অন্যতম প্রাচীন নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতেশ্বরী হোমস। দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার অমর কীর্তি স্বনামধন্য এই বিদ্যাপীঠ ২০২০ সালে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের লৌহজং নদী তীরের এ প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ স্থানীয়দের মধ্যে খুশির বন্যা বইছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভারতেশ্বরী হোমসের স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তির খবর প্রচার হলে উল্লাসে ফেটে পড়ে ছাত্রীরা। এ সময় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর ও শিক্ষানুরাগী আর পি সাহা শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়েপড়া নারীদের শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে তার জন্মস্থান মির্জাপুর গ্রামে মন্মদ পোদ্দারের বাড়ির বাংলাঘরে ১৪ জন ছাত্রী নিয়ে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন। পরে লৌহজং নদীর তীরে ১৯৪০ সালে বর্তমান স্থানে স্থানান্তর করেন। প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করেন তার ঠাকুর মার মা ভারতেশ্বরী দেবীর নামানুসারে। সম্পূর্ণ আবাসিক এই নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে হলো শিক্ষার্থীদের সর্বক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা।
১৯৬২ সাল এই প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি খোলা হয়। স্বাধীনতার পরপরই উত্তপ্ত রাজনীতি ও উচ্ছৃঙ্খলতার কারণে ১৯৭৩ সালে উচ্চমাধ্যমিক শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৯৮৩ সালে এই প্রতিষ্ঠানে আবার উচ্চমাধ্যমিক শাখা খোলা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার ছাত্রী ও ৮ জন পুরুষসহ ৬৮ জন শিক্ষক রয়েছেন। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পাশাপাশি সহপাঠ্য কার্যক্রম দেশজুড়ে এমনকি দেশের বাইরেও সুপরিচিত।
কালের পরিক্রমায় ৮২ বছর পর সেই ২০২০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হলো। এতে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ স্থানীয়দের মধ্যে বইছে খুশির বন্যা।
ভারতেশ্বরী হোমসের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অমলেন্দু সাহা বলেন, এই প্রাপ্তির আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। বলতে পারি, কাজ করলে একদিন স্বীকৃতি মেলে- এই পুরস্কার সেটাই প্রমাণ করে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক (শিক্ষা) ও সাবেক অধ্যক্ষ একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দি জানান, যে কোন পুরস্কার প্রাপ্তি আনন্দের। এই পুরস্কার প্রাপ্তির ফলে ভারতেশ্বরী হোমসের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল